Posts

Showing posts from July, 2021

ভারতের নিউক্লিয়ার শক্তির যাত্রা।

Image
হাইড্রোজেন বম্ব বা থার্মো নিউক্লিয়ার ওয়েপন সাধারণ পারমাণবিক বোমা থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং মারাত্মক হয়ে থাকে । সাধারণ পারমাণবিক বোমা কাজ করে ফিশন প্রকৃয়ায়।ফিশন কথার অর্থ বিভাজন ।এই প্রকৃয়ায় একটি ভারী  পরমানুকে দ্রুত গতির একটি নিউট্রন দিয়ে আঘাত করে তাকে বিভাজিত করে এবং শক্তি উৎপন্ন করে ।          অপরদিকে হাইড্রোজেন বম্ব কাজ করে ফিউশন প্রকৃয়ায় , ফিউশন শব্দের অর্থ গলন। অর্থাৎ, দুটি হালকা ভরের ডিউটেরিয়াম বা ট্রিটিয়াম (হাইড্রোজেনের আইসোটোপ) পরমানুর দ্রুত গতিতে মিথস্ক্রিয়ার ফলে তুলনামুলক একটি ভারী পরমানু (হিলিয়াম) ও বিপুল পরিমানে শক্তি উৎপন্ন হয়, একে ফিউশন বিক্রিয়া বলা হয়। আমাদের অতি পরিচিত সূর্য এর উৎকৃষ্ট উদাহরন, যেখানে অনবরত ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম থেকে হিলিয়াম ও শক্তি উৎপন্ন হয়। এই ফিউশন বিক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে যে অস্ত্র উৎপন্ন করা হয় তাকে বলা হয় থার্মোনিউক্লিয়ার বম্ব, যা হাইড্রোজেন বম্ব(H-Bomb) , আর এই হাইড্রোজেন বম্ব , প্রচলিত পারমানবিক বম্ব থেকে অনেক শক্তিশালী ।       ভারতের নিউক্লিয়ার আর্সেনালে বর্তমানে তিন ধরনে...

ভারতীয় সেনাবাহিনীর আরো একটি শৌর্যের কাহিনী।পড়লে আপনিও রোমাঞ্চিত হবেন।

Image
        এটা হল একটা পর্দার পেছনের কাহিনী যা জনসম্মুখে আনা হয়নি!কারন ভারতীয় আর্মি নামে নয় কর্মে বিশ্বাসী।আর পর্দার পেছনের এই কাহিনীটি হল অপারেশন অ্যাপাচি।           খুকরি হাতে ভারতীয় গোর্খা জ‌ওয়ান       অপারেশনের শুরুর আগের কাহিনী ছিল অত‍্যন্ত বেদনা দায়ক!কাশ্মিরে পিরপাঞ্জাল এবং হিমালয়ান বিভিন্ন রেঞ্জ গুলিতে বহুযুগ ধরে বসবাস করে আসছে শান্তিপ্রিয় বাকার‌ওয়াল উপজাতির মানুষরা।এদের গুর্জর নামেও পরিচিতি রয়েছে।হিমালয়ান রেঞ্জের কঠোরতম জায়গা গুলিতে এরা খুব কষ্টে জীবনধারণ করে আসছে।এদের মূল জীবিকা হল পশুচারন।হিমালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ছাগল,ভেড়া চরিয়েই এরা দিনযাপন করত।এর বাইরে তাদের চাহিদা খুব অল্প‌ই।আর ২০০১ সালে এই ধরনের শান্তিপ্রিয় মানুষদের ওপরে নেমে আসে এক শয়তানের দৃষ্টি !      ২০০১ এর দিকে কাশ্মিরে জঙ্গি কার্যকলাপ চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।ব‍্যাপরটা এমন পর্যায়েই দাড়িয়েছিল আর জঙ্গিরা এমন বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল যে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (RR) এর হেড কোয়ার্টার এর পাশের জঙ্গলে স্থানীয় জঙ্গিরা রীতিমতো ক্রিকেট খেলত।এতটাই সাহস জ...

বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্ম হয়ে কি এই ধর্ম বিজ্ঞানের বিপরীত?কি বলছে আধুনিক বিজ্ঞান?

Image
জানেন কেন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ফিজিক্স গবেষণাগারে রয়েছে নৃত্যরত শিব? CERN [Conseil Européen pour la Recherche Nucléaire”] বা ইউরোপীয় পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র খুবই বিখ্যাত একটা প্রতিষ্ঠান। লার্জ হ্যাইড্রন কোলাইডার নামক পার্টকেল এক্সিলেটারের মাধ্যমে হিগস-বোসন পার্টিকেল (যেটাকে মিডিয়া “গড পার্টিকেল” বলছে ) নিয়ে গবেষণার কারণে CERN আরো বিখ্যাত হয়ে উঠেছে  (ছবিতে যে জায়গাটা দেখা যাচ্ছে সেটা হল জেনেভাতে অবস্থিত CERN এর মূল কম্পাউন্ডের একটা অংশ। মূর্তিটা মহাকাল শিবের নটরাজ মূর্তি)     ভারতে শিব মন্দিরের অভাব নেই। কৈলাস থেকে শুরু করে একেবারে দক্ষিণ পর্যন্ত তিনি বিরাজমান। হিন্দু ধর্মে শিবের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু অনেকেই জানেন না, শুধুমাত্র ধর্মেই নয়, বিজ্ঞানেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শিব। তাঁর নটরাজ রূপের সঙ্গে বিজ্ঞানের এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণাগার সুইজারল্যান্ডের CERN-এ রয়েছে সেই নটরাজের মূর্তি। কিন্তু বিশ্বের এত বড় গবেষণাগারে কেন শিব তথা নটরাজের মূর্তি স্থান পেয়েছে?         ...

রাফ‍্যালে ভারতীয় বায়ুসেনার বহরে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট।আর সেই জেট ক্রয়েই সরকারের দুর্নিতী?আসুন জেনে নিই ভেতরের ঘটনা।

Image
২০১৯ এ ভারতীয় লোকসভা ভোটে,বিরোধী দল গুলির অন‍্যতম ইস‍্যু ছিল 'রাফ‍্যালে স্ক‍্যাম'।সমস্ত ইস‍্যুটা আরো আরো বেশি চোখ রাঙায় যখন কংগ্রেস আমলের রাফ‍্যালে এবং বি.জে.পি এর আমলের রাফ‍্যালে মূল‍্যেতে আকাশ পাতাল পার্থক্য পাওয়া যায়।       ভারতীয় বায়ুসেনার রাফ‍্যালে জেট এর বহর ■ এই চুক্তি নিয়ে ভারতের বিরোধীদের মূল তিনটি প্রশ্ন ছিল :-- ১. কেন প্রতিটা রাফ‍্যালে  ₹৫৬২ কোটির বদলে,₹১৬৭০ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে হল ? ২. ১২৬ টা জেটের বদলে ৩৬ টা কেন? ৩. HAL কে বাদ দিয়ে কেন ঋণগ্রস্ত অনিল আম্বানিকে ₹৩০,০০০ কোটির কন্ট্রাক্ট দেওয়া হল ?   "  প্রথমত এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কোন দায়বদ্ধতা সরকারের নেই।কারন ২০১৯ এর পুরো লোকসভা ভোটের প্রচার‌ই হয়েছে -- 'রাফ‍্যালে একটি দূর্নীতি' প্রমাণ করার চেষ্টায়।এই কেস সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গেছে।সুপ্রিম কোর্ট পরিস্কার বলেছে রাফ‍্যালে চুক্তিতে কোন দূর্নীতির ঘটনা পাওয়া যায় নি।সর্বোপরি লোকসভা ভোটে দেশের জনগন,তাদের ভোটের মাধ্যমে,দেশকে সামরিক ভাবে দূর্বল করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জবাব দিয়েছে। "      ওপরের এই অংশটুকু যদি বর্তমান ...

ভূস্বর্গের বাসিন্দারা আজ‌ও ভুস্বর্গ ছেড়ে রিফিউজি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।এক রক্তাক্ত স্বর্গের কাহিনী।

Image
নিজ ভূমে পরবাসী হয়েছে যারা .......  ■ পৌরানিক কাহীনি এবং নাম করন  ■       কাশ্মীর শব্দের অর্থ হল শুকিয়ে যাওয়া ভূমি। অনেক অনেক দিন আগে চারদিকে হিমালয় আর পীর পাঞ্জল পাহাড় ঘেরা এই এলাকা ছিল বিশাল এক হ্রদ। রাজা দক্ষ তনয়া সতী’ র হ্রদ নাম অনুসারে নাম ছিল সতীসর। সেই হ্রদে বাস করত এক দৈত্য। নাম তার “জলোদ্ভব” দৈত্যের অত্যাচারে লোকজন থাকত সন্ত্রস্ত। অবশেষে কাশ্যপ ঋষি এগিয়ে এলেন তাদের সাহায্য করতে। কাশ্যপ ছিলেন ব্রহ্মাপুত্র মারিচের ছেলে। যে সাতজন মুনি বা ঋষিকে সপ্তর্ষি বলা হয়ে থাকে তাদের একজন হলেন ব্রাহ্মন ঋষি কাশ্যপ।       ডাল হ্রদের ধারে বেদ অধ‍্যায়নরত এক কাশ্মিরী পন্ডিত        হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বেদ অনুসরনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন কাশ্যপ। ঋষি কাশ্যপের আবেদনে তুস্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণু এগিয়ে এলেন। বিশাল এক  বরাহের রুপ নিয়ে গুতো দিয়ে ভেঙ্গে ফেললেন এক দিকের পাহাড়। ফলে হ্রদ গেল শুকিয়ে আর মারা গেল সেই দৈত্য । যেখানে  বরাহরূপী বিষ্ণু পাহাড় ভেঙ্গেছিলেন তার নাম হল বরাহমুল, যা এখন বারমুলা নামে পরিচিত। হ্রদ শ...

আফগানিস্তান সমস‍্যায় ভারত।ভারতকে নিতে হবে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত।কি হতে পারে তা?

Image
আজকের আফগানিস্তান ও তাতে ভারতের ভূমিকা কি হতে পারে?আজকের পরিস্থিতিতে এই প্রশ্ন অবশ্যই জটিল,তবে এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা তো করা যেতেই পারে।   গনতান্ত্রিক দেশে বসে আপনি হয়তো বুঝতে পারবেন না আপনি কতটা ভাগ‍্যবান যে এরকম একটা দেশে বাস করছেন।কারণ পৃথিবীতে এখনো বহু দেশ রয়েছে যে দেশে বসবাসরত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের কোন গ‍্যারান্টি নেই।মৌলিক অধিকার তো ছাড়ুন,তাদের জীবনের‌ই কোন গ‍্যারান্টি নেই।আর আজ এরকম‌ই একটি দেশ হতভাগ‍্য দেশ হল আফগানিস্তান।যে দেশের আজকের হতভাগা জনগন নিজেও জানে না আগামী কাল তার ভবিষ্যৎ কি?     ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঘাতক ফোর্সের সদস‍্য     আফগানিস্তানে আফগান সরকার ও তালিবানের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে বর্তমানে।আফগানিস্তানের বহু প্রত‍্যন্ত জায়গা এখন তালিবানের দখলে।কিন্তু হঠাৎ করে আফগানিস্তানে তালিবানের তৎপরতা এতটা বেড়ে গেল কি করে ?তার জন‍্য আপনাকে কয়েক দশক পিছিয়ে যেতে হবে।     ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর অন‍্যান‍্য সমস্ত পরাধীন জাতির মতো আফগানিস্তানের শুরুটা হয়েছিল দারিদ্রতা ও অরাজকতার মধ্যে দিয়ে।আফগানিস্তান একটি ল‍্যান্ডলক দেশ হ‌...

বিভিন্ন দেশের ব‍্যালেস্টিক মিসাইল বহনকারী পারমাণবিক সাবমেরিন : SSBN

Image
SSBN (Ship, Submersible, Ballistic, Nuclear) বা নিউক্লিয়ার ব‍্যালেষ্টিক মিসাইল সাবমেরিন পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকরতম গুপ্ত ঘাতক।বর্তমানে পৃথিবীর মাত্র ছয়টি দেশের কাছেই এই গুপ্ত ঘাতক রয়েছে।SSBN গুলি একাধিক মারক নিউক্লিয়ার ব‍্যালেষ্টিক মিসাইল নিয়ে পৃথিবীর যেকোন সমুদ্রের তলায় মাসের পর মাস পরে থাকতে পারে সবার অজান্তে এবং সেই সাবমেরিন পৃথিবীর কোথায় অবস্থান করবে তা SSBN এর প্রধান সাবমেরিনার এবং রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়া কেওই জানতে পারবে না ।এমনকি বাকি সাবমেরিনাররাও জানবে না,তারা কোথায় যাচ্ছে।এবং সেই অজানা সমুদ্রের তলা থেকে হঠাৎ করেই এই SSBN গুলি একদিন শত্রু দেশের ওপর চরম আঘাত করতে সক্ষম,এর নিউক্লিয়ার মিসাইল গুলি দিয়ে।যেহেতু এই নিউক্লিয়ার বাহকরা সর্বদা সব ধরনের নজরের বাইরে থাকে,তাই এটি স্থল ভিক্তিক বা আকাশ ভিক্তিক নিউক্লিয়ার মিসাইল বাহক গুলির থেকে শত্রুর ওপর বেশি মানসিক চাপ প্রয়োগে সক্ষম হয়।     যাই হোক ,বর্তমানে ছয়টি দেশের কাছে এমন SSBN রয়েছে ।চলুন দেখে নেওয়া যাক এই ছয়টি দেশের SSBN আর্ম কতটা মজবুত :-- ১. আমেরিকা 🇺🇸  ● বর্তমানে সবচেয়ে বেশি SSBN অ্যাক্টিভ রেখেছে আমেরিকান নৌবাহি...

যখন F-22 এর থেকেও বেশি স্টেলথ ফাইটার জেট বাতিল করে দেয় আমেরিকা।ঘটনাটা জানেন কি?

Image
আমেরিকার F-22 র‍্যাপটর এখনো পর্যন্ত পৃথিবীর সবচেয়ে রহস‍্যজনক ফাইটার জেট।কারন বর্তমান পৃথিবীতে অন‍্যান‍্য দেশ গুলি যে টেকনোলজির জন‍্য হাহুতাশ করছে,সেই টেকনোলজি আমেরিকার কাছে আছে আজ থেকে বহু বছর আগে থেকেই রয়েছে।আর সেটা হল আমেরিকার বায়ুসেনার F-22 র‍্যাপটর জেট।২০০৫ সালে সার্ভিসে আসার পর ,আজ পর্যন্ত এর সত‍্যিকারের দ্বিতীয় কোন প্রতিদ্বন্দ্বী কে তুলে ধরতে পারে নি অন‍্য কোন দেশ।           পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট ফাইটার জেট F-22    আর এই F-22 র‍্যাপটরকে আমেরিকানরা তাদের অতি ঘনিষ্ঠ কোন বন্ধু দেশের কাছেও বিক্রি করে নি।এই F-22 ঠিক কতটা স্টেলথ তা আপনি একটি ঘটনা থেকেই বুঝতে পারবেন।আমেরিকার এয়ারফোর্সের F-22 এবং F-15 এর মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ডগফাইট হ‌ওয়ার সময় ,F-15 এর পাইলট লক্ষ্য করে যে সে খালি চোখে তার সামনে F-22 কে দেখতে পাচ্ছে,অথচ তার ফাইটারের রাডারে কোন জেট ধরা পরছে না।   অথচ এই মহামূল্যবান F-22 আমেরিকার এয়ারফোর্সে সার্ভিসে এসেছে খুব‌ই কষ্ট করে,নতুবা এই F-22 এত দিন বাতিলের খাতায় শুধু একটা প্রজেক্ট হিসাবে পরে থাকত।আর F-22 এর বদলে সার্ভিসে আসত অন‍্য...

RAW : 'র' -- পর্দার আড়ালে থাকা যোদ্ধাদের কিছু সফল অভিযান

Image
RAW : রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং , ভারত তথা সমগ্র বিশ্বের মধ্যে অন‍্যতম শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা গুলির একটি ।আমরা তাদের সম্পর্কে যতটা না জানি ,তার চেয়ে তারা আমাদের সম্পর্কে অনেক বেশি জানে ! তারা সবার আড়ালে থেকে আমাদের জন‍্য প্রতি নিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে!যতটা জানা যায় ,তার থেকে বেছে নিয়ে আমরা পেজে RAW এর কয়েকটি টপ কভার্ট অপারেশনের কথা নীচে আলোচনা করছি ,যে অপারেশন গুলির প্রধান ভূমিকায় ছিল RAW এবং তাদের ফিল্ড অপারেটররা ! ■ অপারেশন স্মাইলিং বুদ্ধা:    স্মাইলিং বুদ্ধা ,ভারতের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামের ছদ্মনাম ছিল।পুরো প্রোগ্রামটির গোপোনীয়তার ভার RAW এর আন্ডারে ছিল । এটা RAW এর সর্বপ্রথম কোন  প্রজেক্ট ছিল ,যেটাকে তাদের ভারতের অভ‍্যান্তরে করতে হয়েছিল ।অবশেষে ১৮ মে ,১৯৭৪ সালে ভারত সফল ভাবে ১৫ কিলোটনের প্লুটোনিয়াম ডিভাইস টেস্ট করে এবং পৃথিবীর এলিট নিউক্লিয়ার গ্রুপে ঢুকে পরে।এক সাথে আমেরিকা ,চীন,পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের চোখে ধূলো দিয়ে ,ভারতের এই কৃতিত্ব  অর্জন RAW ছাড়া অসম্ভব হত । ■ খালিস্তান  বিদ্রোহ:    আশির দশককে ভারতের ইতিহাসের অন্ধকার অধ‍্যায় ব...

যেভাবে চীনের সাবমেরিনারদের মর্মান্তিক সলীলসমাধি ঘটে

Image
 চীনের ভয়ংকর সাবমেরিন দূর্ঘটনা, যা আজ‌ও রহস‍্যজনক !       চীনের তৈরী মিং ক্লাস Type-035 সাবমেরিন একটি আউটডেটেড দ্বিতীয় প্রজন্মের সাবমেরিন।এটিকে চীন তৈরী করে সভিয়েত রাশিয়ান রোমিও ক্লাস সাবমেরিনের ওপর ভিক্তি করে ,আর সভিয়েত রাশিয়া সেই রোমিও ক্লাস সাবমেরিন বানায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জার্মান Type XXI  ইউ বোটের ওপর ভিক্তি করে।প্রথম দুটি মিং ক্লাস চীন তৈরী করে ১৯৭৫ সালে।কিন্তু চীনের তৈরী এই সাবমেরিন সহজেই সনাক্ত করা যেত জলের মধ্যে,আর এটি এর সমসাময়িক এক‌ই শ্রেণীর অন‍্যান‍্য সাবমেরিন থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল।কিন্তু এটির মান অত্যন্ত দূর্বল হলেও চীন তাদের সমুদ্র সীমার কথা মাথায় রেখে,এর উৎপাদন বন্ধ করতে পারে নি বরং আরো বাড়িয়েছিল।১৯৯০ সাল আসতে আসতে চীন মিং ক্লাসের এই সাবমেরিনের অভ‍্যান্তরে কনট্রোল সিস্টেমের পরিবর্তন আনে এর পর এর নাম দেয় Type-035G Ming-III ক্লাস সাবমেরিন।কিন্তু আপগ্রেডেশনের পর‌ও চীন এই সাবমেরিন গুলিকে গভীর সমুদ্রে ব‍্যাবহার করার ভরসা পেত না,তাই এদের অধিকাংশ সময় চীনের ভূভাগের কাছাকাছি অপারেট করা হত।১৯৯৫ সালে চীন এই আপগ্রেডেড মিং ক্লাসের চারটি সাবমেরিন সার্ভিসে আনে...